ইমাম খাইর:
চকরিয়া উপজেলার সর্বদক্ষিণ সীমান্তবর্তী এলাকা খুটাখালী। শিক্ষাদীক্ষার জন্য খ্যাত এই ইউনিয়নের ফুলছড়ীর ছরা ও পাহাড়ের চূড়া ঘেঁষে অবস্থিত প্রাচীন দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফুলছড়ী ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদরাসা। যেটি ১৯৮৪ সালে বাঁশকাটা যুব কিশোর সংস্থা (বাযুকিস) নামক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সংগঠনের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহত্তর ফুলছড়ীতে যখন কোন দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না, ঠিক ওই সময়ে ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা করা এই প্রতিষ্ঠানটি আজ বিরাট বাতিঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। এটি আজ শিক্ষাবিদ, আলেম তৈরীর কারখানা। শিক্ষাদীক্ষা, ক্রিড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে মাদরাসাটি উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে জেলাজুড়ে পরিচিত।
অ-আ-ক-খ পড়ে যাওয়া ফুলছড়ি মাদরাসার ছাত্ররা আজ দেশের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে অনেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় রয়েছে অনেকে।
অনেক কৃতি ছাত্র ব্যাংকার, সাংবাদিক, আইনজীবী, সমাজপতি, রাজনীতিবিদ, প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী। সরকারি-বেসরকারি প্রায় প্রতিটি দপ্তরে দেখা মেলে ফুলছড়ী মাদরাসার সনদধারী শিক্ষার্থীদের। যারা কর্মদক্ষতার পাশাপাশি নৈতিক অবস্থানেও বলিয়ান।
এই বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যে যেখানে; যে অবস্থানে আছে, সবাই যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে।
ফুলছড়ী মাদরাসার প্রাক্তন-বর্তমানদের প্রথম মিলনমেলা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৭ জুন।
প্রাক্তন ছাত্র সংসদের প্রথম সভাপতি ক্রিড়াবিদ অধ্যাপক আবুল কাশেম এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইমাম খাইর।
২৭ জুন পুনর্মিলনী শেষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে প্রাক্তন ছাত্র সংসদের আহবায়ক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটিতে রূপান্তর করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে ছিলেন-মিজানুর রহমান ও শাহাব উদ্দিন আরমান।
আরো বিভিন্ন পদে যারা ছিলেন- যুগ্ম-সম্পাদক শওকত আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ খান, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল কবির, অফিস সম্পাদক মনছুর আলম।
কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হলেন- মুজিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসাইন, বশির আহমদ, লোকমান হাকিম, ওয়াসিম আকরাম, মাহবুবুর রহমান, নুরুল হুদা, জিয়াউল হক, নুরুল কবির রানা, সালাহ উদ্দিন। প্রতিটি ব্যাচ থেকে প্রতিনিধিত্ব ছিল বেশ প্রশংসনীয়।
২০১৭ সালে প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজনে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন, ব্যাচ প্রতিনিধি ছিলেন সবার অবদান শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি।
দেশের পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে গেল দুইটি বছর পুনর্মিলনীর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
তবে, মেঘের ঘনঘটার মাঝেও খুশির খবর হলো- দেশের বৈরী পরিস্থিতি ও করোনাকালের কঠিন চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো মিলনমেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের প্রাক্তন ভাই-বন্ধুরা। যা ২৭ ফেব্রুয়ারী, শনিবার মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যারা মহতি উদ্যোগটি নিয়েছেন সবাইকে আমি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
স্মরণীয়-বরণীয় দিনটিতে দেখা হবে সাবেক ও বর্তমানদের। বাড়বে বন্ধন-ভ্রাতৃত্ব।
সফল হোক ফুলছড়ী ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদরাসার প্রাক্তনদের পুনর্মিলনী।

ইমাম খাইর
বিএ, বিএড, এমএ, এমএড, কামিল (ফার্স্ট ক্লাস)
ব্যাচ-১৯৯৯
বার্তা সম্পাদক
কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)
নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক সাঙ্গু।